তেলেনাপোতা আবিষ্কার কি শুধুই একটি ছোটোগল্প নাকি আধুনিকতার ছাঁচে ঢালা শকুন্তলা-কাহিনি?
আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে তেলেনাপোতা আবিষ্কার কি শুধুই একটি ছোটোগল্প নাকি আধুনিকতার ছাঁচে ঢালা শকুন্তলা-কাহিনি? নিয়ে আলোচনা করব।
বাংলা সাহিত্যধারায় কল্লোল যুগের সাহিত্য ব্যাপক পালাবদল - ঘটিয়েছিল। একদিকে নিত্যদিনের মানুষের জীবনের দিনপঞ্জি অন্যদিকে শ্রমজীবী, অন্ত্যজ শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ ও তাদের দুঃখ যন্ত্রণার কথা, কল্লোল যুগের সাহিত্য সম্পর্কে পাঠককে ভাবতে বাধ্য করল। পরিবর্তনের মুখোশের আড়ালে থাকা বে-আবু রূপটিও তখন আভিজাত্যের পর্দা সরিয়ে এই সময়ের সাহিত্যে স্থান করে নিয়েছে। এই ধারার অন্যতম ঋত্বিক প্রেমেন্দ্র মিত্র সেই সুরটি রচনা করেছেন একেবারে নিজস্ব ভঙ্গিমায়। 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' গল্পটি লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যাওয়া উপেক্ষিত এক গ্রামের করুণ জীবনের কাহিনি।
সমাজ বাস্তবতা বা সাংসারিক নিত্যদিনের সুখ-দুঃখের কাহিনি এ গল্পে থাকলেও তার পরিণতি যেভাবে ছোটোগল্পে থাকে-তা কিন্তু এখানে অনুপস্থিত। প্রাচীন অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ, বিশাল মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ সবই যেন পাঠকের আবিষ্কারের তালিকাভুক্ত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে মানুষের জীবনের জ্বালা, যন্ত্রণা, কদর্যতা, লালসা, ব্যভিচার, হিংসা থেকে মুক্তির কামনা, অথচ যেখানে মুক্তির স্থান নেই-সেই জীবনের ভাঙন ও অবক্ষয়ের স্বরূপ আবিষ্কার ঘটেছে এই গল্পে।
সমাজ বাস্তবতা বা সাংসারিক নিত্যদিনের সুখ-দুঃখের কাহিনি এ গল্পে থাকলেও তার পরিণতি যেভাবে ছোটোগল্পে থাকে-তা কিন্তু এখানে অনুপস্থিত। প্রাচীন অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ, বিশাল মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ সবই যেন পাঠকের আবিষ্কারের তালিকাভুক্ত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে মানুষের জীবনের জ্বালা, যন্ত্রণা, কদর্যতা, লালসা, ব্যভিচার, হিংসা থেকে মুক্তির কামনা, অথচ যেখানে মুক্তির স্থান নেই-সেই জীবনের ভাঙন ও অবক্ষয়ের স্বরূপ আবিষ্কার ঘটেছে এই গল্পে।
এই বিষয়ের কেন্দ্রে আছে যামিনী নামের চরিত্রটি-যে এখনও নিরঞ্জন নামক এক রাজকুমারের অপেক্ষায় দিন গুনছে, শকুন্তলা যেমনভাবে রাজা দুষ্মন্তের জন্য অপেক্ষা করেছিল। প্রেমেন্দ্র মিত্র কাহিনির অবসান ঘটিয়েছেন অন্য এক পরিবেশে। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী কেবলমাত্র নিরঞ্জন নয়- নিরঞ্জনের মতো অনেকেই। পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য তেলেনাপোতা হলেও তেলেনাপোতা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে প্রতীকী ব্যঞ্জনায় যামিনীর মতো চরিত্র ভালোবাসার কাঙাল। তাই লেখক এই উপমা ব্যবহার করে যামিনী ও শকুন্তলাকে যেন একাকার করে দিয়েছেন।
আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। তেলেনাপোতা আবিষ্কার কি শুধুই একটি ছোটোগল্প নাকি আধুনিকতার ছাঁচে ঢালা শকুন্তলা-কাহিনি? এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url