ঘরে ঢুকে বুঝতে পারবেন বহু যুগ পরে মনুষ্যজাতির প্রতিনিধি হিসাবে আপনারাই সেখানে প্রথম পদার্পণ করেছেন। -ঘরটির বর্ণনা দাও
আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ঘরে ঢুকে বুঝতে পারবেন বহু যুগ পরে মনুষ্যজাতির প্রতিনিধি হিসাবে আপনারাই সেখানে প্রথম পদার্পণ করেছেন। -ঘরটির বর্ণনা দাও নিয়ে আলোচনা করব।
সভ্যতার ইতিহাসের পাতা ওলটালে দেখা যাবে তার ভিত্তি তৈরি হয়েছে গ্রামকে কেন্দ্র করে, কিন্তু সময় যত প্রবাহিত হয়েছে ততই তা সামনে এগিয়ে কেন্দ্রীভূত হয়েছে শহরের দিকে। গ্রাম পিছনে চলে গেছে নিঃশব্দে। এরকমই এক নিঃশব্দ গ্রামের ইতিহাস প্রেমেন্দ্র মিত্রের 'তেলেনাপোতা আবিষ্কার' গল্পটি।
তিন বন্ধু মিলে উপস্থিত তেলেনাপোতা নামক গ্রামে। চাঁদের আলোয় তাদের চোখে পড়ে একটি বড়ো পুকুরের পাশে বিশাল এক জীর্ণ অট্টালিকা। এই জীর্ণ অট্টালিকা, যার পদে পদে অবক্ষয়ের চিহ্ন। ভাঙা ছাদ, ধসে পড়া দেয়াল, চক্ষুহীন কোটরের মতো পাল্লাহীন জানালা নিয়ে অট্টালিকাটি দুর্গ প্রকারের মতো দাঁড়িয়ে আছে। এই অট্টালিকার কোনোরকম বাসযোগ্য একটি ঘরে তিন বন্ধুর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘরটি দেখে মনে হয়, বহুকাল কোনো মানুষ এই ঘরে পা রাখেনি। ঘরে ঝুল, জঙ্গল পরিষ্কার করার পরও থেকে গেছে। ঘরের মধ্যে একটি ভ্যাপসা গন্ধ। গল্পকথক মজা করে বলেছেন-ঘরটি পরিষ্কার করায় ঘরের আত্মা রুষ্ট হয়েছেন। ছাদে সামান্য চলাফেরা করলেই ছাদ ও দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে রুষ্ট আত্মার অভিশাপের মতো।
তিন বন্ধু মিলে উপস্থিত তেলেনাপোতা নামক গ্রামে। চাঁদের আলোয় তাদের চোখে পড়ে একটি বড়ো পুকুরের পাশে বিশাল এক জীর্ণ অট্টালিকা। এই জীর্ণ অট্টালিকা, যার পদে পদে অবক্ষয়ের চিহ্ন। ভাঙা ছাদ, ধসে পড়া দেয়াল, চক্ষুহীন কোটরের মতো পাল্লাহীন জানালা নিয়ে অট্টালিকাটি দুর্গ প্রকারের মতো দাঁড়িয়ে আছে। এই অট্টালিকার কোনোরকম বাসযোগ্য একটি ঘরে তিন বন্ধুর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘরটি দেখে মনে হয়, বহুকাল কোনো মানুষ এই ঘরে পা রাখেনি। ঘরে ঝুল, জঙ্গল পরিষ্কার করার পরও থেকে গেছে। ঘরের মধ্যে একটি ভ্যাপসা গন্ধ। গল্পকথক মজা করে বলেছেন-ঘরটি পরিষ্কার করায় ঘরের আত্মা রুষ্ট হয়েছেন। ছাদে সামান্য চলাফেরা করলেই ছাদ ও দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে রুষ্ট আত্মার অভিশাপের মতো।
কয়েকটি চামচিকাও ঘরের মধ্যে রয়েছে। রাত নামতেই এ অঞ্চলের অ্যানোফিলিস মশারা নবাগতদের অভিনন্দন জানাতে দলে দলে ঘরে ঢোকে। ঘরটির মধ্যে অস্বস্তিকর গুমোট গরম সকলকে কাহিল করে তোলে। ক্ষয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিমূর্তি যেন এই ঘরটি।
আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। ঘরে ঢুকে বুঝতে পারবেন বহু যুগ পরে মনুষ্যজাতির প্রতিনিধি হিসাবে আপনারাই সেখানে প্রথম পদার্পণ করেছেন। -ঘরটির বর্ণনা দাও এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url