ওয়েজ আর্নারস স্কিম কী? আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব বর্ণনা কর

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ওয়েজ আর্নারস স্কিম কী? আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব বর্ণনা কর নিয়ে আলোচনা করব।

ওয়েজ আর্নারস স্কিম কী? আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব বর্ণনা কর

ওয়েজ আর্নারস স্কিম কী? আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব বর্ণনা কর। অথবা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কাকে বলে? আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব বর্ণনা কর। অথবা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব বর্ণনা কর।

ওয়েজ আর্নারস স্কিম: ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সর্বপ্রথম ওয়েজ আর্নারস স্কিম নামে একটি বিশেষ স্কিম চালু করেন। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দক্ষ আধাদক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে বিবিধ কাজে নিয়োজিত আছে, বিদেশে কর্মরত ও বসবাসকারী এসব বাংলাদেশিগণ তাদের উপার্জিত অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় যাতে সরাসরি দেশে পাঠানোর ব্যাপারে উৎসাহ বোধ করেন সে সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এ স্কিম চালু করা হয়।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্বঃ দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য সংঘটিত হয়, তাকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বলে। আধুনিক বিশ্বের কোনো দেশই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। একজন ব্যক্তির পক্ষে যেমন তার প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করা সম্ভব নয় তেমনি কোনো দেশও নিজস্ব প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করতে পারে না। এজন্য একটা দেশকে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর আদান-প্রদান তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। নিম্নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো:-

  1. অধিক উৎপাদনঃ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটা দেশে যেসব দ্রব্য উৎপাদনের প্রয়োজনীয় সম্পদ সহজলভ্য সে দেশ শুধুমাত্র সেসব দ্রব্যই উৎপাদন করে। ফলে মোট উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
  2. উৎপাদন ব্যয় হ্রাস: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংঘটিত হলে সেক্ষেত্রে প্রতিটি দেশ উৎপাদনে বিশেষীকরণের সুবিধা ভোগ করে। অর্থাৎ যে দেশ যে দ্রব্য উৎপাদনে দক্ষ সে দেশ শুধু সেই দ্রব্য উৎপাদন করে। ফলে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায়।
  3. বিস্তৃত বাজার: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে দ্রব্যসামগ্রীর বাজার সুবিস্তৃত হয়। ফলে সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
  4. ভোগের সুবিধাঃ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দরুন একটা দেশ যেসব দ্রব্য উৎপাদন করতে পারে না সেসব দ্রব্য বিদেশ হতে আমদানি করে। ফলে দেশের জনগণ অনুৎপাদিত দ্রব্য ভোগের সুযোগ পায়। যেমন- বাংলাদেশে মোটরগাড়ি তৈরি হয় না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দরুণ আমরা মোটরগাড়ি বিদেশ হতে আমদানি করি বা ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকি।
  5. স্বল্প দামঃ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ফলে দ্রব্যসামগ্রীর আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে তীব্র প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় দ্রব্যসামগ্রী কম দামে ক্রয় করা সম্ভব হয়। ফলে জাতি উপকৃত হয়ে থাকে।
  6. জীবনযাত্রার উন্নত মান: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চালু থাকলে বিদেশ হতে কম দামে দ্রব্যসামগ্রী আমদানি করা যায়। ফলে ভোক্তারা কম দামে দ্রব্যাদি ভোগের সুযোগ পায় এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
  7. অপচয় রোধঃ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো দেশে উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী অন্য দেশে রপ্তানি করা যায়।

বিপদে সহায়ক: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিপদে খুবই সহায়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে খাদ্যশস্যের উৎপাদন কম হলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চালু থাকলে বিদেশ হতে খাদ্যশস্য আমদানি করে এরূপ দুর্যোগের মোকাবিলা করা যায়।

আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। ওয়েজ আর্নারস স্কিম কী? আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব বর্ণনা কর এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Next Post Previous Post
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url