শেখ হাসিনার মা কোন ধর্মের ছিলেন?

আচ্ছালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক - দৈনিক শিক্ষা ব্লগর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেখ হাসিনার মা কোন ধর্মের ছিলেন? নিয়ে আলোচনা করব।

শেখ হাসিনার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোন ধর্মের ছিলেন?

বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব। অনেকেই তাঁর পরিবার সম্পর্কে জানতে চান। বিশেষ করে, তাঁর মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখা যায়। একটি সাধারণ প্রশ্ন হলো – শেখ হাসিনার মা কোন ধর্মের ছিলেন? এই লেখাটিতে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর সহজ ভাষায় জানার চেষ্টা করবো এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

শেখ হাসিনার মা কোন ধর্মের

কে ছিলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব?

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নারী। তাঁকে বাংলাদেশের মানুষ ভালোবেসে এবং শ্রদ্ধা করে 'বঙ্গমাতা' বলে ডাকে, যার অর্থ হলো 'বাংলার মা' বা 'জাতির মা'। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বা শেখ হাসিনার মা-ই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন ধৈর্যশীল, সাহসী এবং জ্ঞানী নারী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যে লম্বা সংগ্রাম চলেছিল, সেই সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সাহস জুগিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন এবং পরিবারের হাল ধরে রেখেছিলেন।

শেখ হাসিনার মায়ের আসল নাম কি?

শেখ হাসিনার মায়ের পুরো নাম হলো বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তবে তাঁর একটি ডাকনামও ছিল। ছোটবেলায় এবং পরিবারের কাছে তিনি 'রেনু' নামে পরিচিত ছিলেন। এই নামটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুব ভালোবাসতেন এবং প্রায়ই তাঁকে এই নামে ডাকতেন।

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোন ধর্মের মানুষ ছিলেন?

এখন আসি মূল প্রশ্নে – শেখ হাসিনার মা কোন ধর্মের ছিলেন? এর সহজ এবং স্পষ্ট উত্তর হলো: বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তিনি একজন মুসলমান নারী ছিলেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তিনি ছোটবেলা থেকেই ইসলামিক নিয়ম-কানুন ও রীতিনীতির মধ্যে বড় হয়েছেন এবং সারাজীবন সেগুলো মেনে চলেছেন।

তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন, রোজা রাখতেন এবং অন্যান্য ইসলামিক অনুশাসন পালন করতেন। তাঁর ধর্মবিশ্বাস ছিল অত্যন্ত গভীর। তিনি সন্তানদেরও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করেছিলেন।

মুসলিম পরিবারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ই আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম শেখ জহুরুল হক এবং মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। তাঁরা ছিলেন টুঙ্গিপাড়ার শেখ বংশের উত্তরসূরি, যা ছিল একটি পরিচিত এবং ধার্মিক মুসলিম পরিবার। খুব অল্প বয়সেই তিনি তাঁর বাবা-মাকে হারান। এরপর তিনি তাঁর দাদা শেখ কাশেমের কাছে বড় হতে থাকেন। তাঁর বেড়ে ওঠা সম্পূর্ণ ইসলামিক পরিবেশে হয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই তিনি ধর্মীয় রীতিনীতি শিখতেন এবং পালন করতেন।

বঙ্গবন্ধুর সাথে বিবাহ ও পারিবারিক জীবন

খুব অল্প বয়সেই বেগম ফজিলাতুন্নেছার বিয়ে হয় তাঁর চাচাতো ভাই শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে। তখন শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন ছাত্র এবং রাজনীতিতে সবেমাত্র পা রেখেছেন। বিয়ের পর থেকে বেগম মুজিব ছায়ার মতো স্বামীর পাশে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন রাজনীতি ও দেশের মানুষের জন্য দিনের পর দিন घराর বাইরে থাকতেন, জেলে থাকতেন, তখন বেগম মুজিব অত্যন্ত ধৈর্য ও দক্ষতার সাথে সংসার সামলেছেন। তিনি ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও মানুষ করার দায়িত্ব পালন করেছেন।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব

ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে তাঁর জীবন

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একজন ধার্মিক মুসলমান হিসেবে জীবনযাপন করতেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। রমজান মাসে রোজা রাখতেন। কোরআন তেলাওয়াত করতেন। তিনি সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখতেন। বিশেষ করে কঠিন সময়ে, যখন বঙ্গবন্ধু জেলে থাকতেন বা দেশের অবস্থা খারাপ থাকতো, তখন তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন। তিনি তাঁর সন্তানদেরও ইসলামের পথে চলার শিক্ষা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা এবং তাঁর ভাই-বোনেরা মায়ের কাছ থেকেই ধর্মীয় মূল্যবোধ শিখেছেন।

তাঁর ধর্ম পালন শুধু ব্যক্তিগত ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি মানুষের প্রতি দয়া, মায়া এবং ভালোবাসা দেখাতেন, যা ইসলামের মূল শিক্ষা। তিনি গরিব-দুঃখী মানুষের সাহায্য করতেন। তাঁর বাড়িতে কেউ সাহায্য চাইতে এলে তিনি খালি হাতে ফেরাতেন না। তাঁর এই মানবিক গুণাবলীও তাঁর গভীর ধর্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন ছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী হিসেবে ধর্ম পালন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেও একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনেও ধর্মের প্রভাব ছিল। বেগম মুজিব স্বামীর ধর্ম পালনেও সহযোগী ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে সবসময় সৎ পথে থাকার, अन्यायের বিরুদ্ধে লড়ার এবং আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখার কথা মনে করিয়ে দিতেন। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এবং কারাবাসের সময়ে বেগম মুজিব সন্তানদের আগলে রেখেছেন, তাদের পিতার আদর্শ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ শিখিয়েছেন। তিনি নিজে যেমন ধর্ম পালন করতেন, তেমনি পুরো পরিবারকে একটি ধর্মীয় আবহের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করতেন।

সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা

মা হিসেবে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তাঁর সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষাদানের ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। তিনি শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেল – প্রত্যেক সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলো শিক্ষা দিয়েছেন। নামাজ পড়া, রোজা রাখা, কোরআন পড়া এবং ইসলামের নৈতিক আদর্শ মেনে চলার গুরুত্ব তিনি তাদের শিখিয়েছেন। পরিবারের মধ্যে একটি সুস্থ ও সুন্দর ধর্মীয় পরিবেশ বজায় রাখতেন তিনি। তিনি চাইতেন তাঁর সন্তানরা যেন ভালো মানুষ হয় এবং দেশের সেবা করার পাশাপাশি আল্লাহকেও মনে রাখে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে বেগম মুজিবের অবদান

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু একজন স্ত্রী বা মা ছিলেন না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদান অনেক। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে থাকতেন, তখন দলের নেতা-কর্মীরা প্রায়ই বেগম মুজিবের কাছে আসতেন পরামর্শের জন্য। তিনি পর্দার আড়ালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে এবং আওয়ামী লীগকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতেন। তাঁর বুদ্ধি, বিচক্ষণতা এবং দূরদর্শিতা অনেক কঠিন সময়ে পথ দেখিয়েছে।

বিশেষ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন বেগম মুজিব এর বিরোধিতা করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, এটা বঙ্গবন্ধুকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার একটা চক্রান্ত হতে পারে। তাঁর দৃঢ় অবস্থানের কারণেই বঙ্গবন্ধু প্যারোলে মুক্তি নিতে রাজি হননি, যা পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির পথ খুলে দেয়। এই ঘটনাটি বেগম মুজিবের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার একটি বড় উদাহরণ।

মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস তিনি গৃহবন্দী ছিলেন। সেই কঠিন সময়েও তিনি ভেঙে পড়েননি, বরং সন্তানদের সাহস জুগিয়েছেন। তাঁর ত্যাগ ও ধৈর্যের কারণেই বঙ্গবন্ধু নিশ্চিন্তে দেশের জন্য কাজ করতে পেরেছেন। এজন্যই তাঁকে 'বঙ্গমাতা' উপাধি দেওয়া হয়েছে, যা তাঁর অবদানের যথার্থ স্বীকৃতি।

তাঁর সহনশীলতা ও উদারতা

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন অত্যন্ত সহনশীল এবং উদার মনের মানুষ। তিনি কখনো বিলাসিতা পছন্দ করতেন না। খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের সকল ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা তিনি হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন। দলের নেতা-কর্মীদের তিনি নিজের সন্তানের মতো দেখতেন। তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতেন। তাঁর বাড়ি ছিল সকলের জন্য খোলা। তাঁর এই উদারতা ও মানবিকতা সবার জন্য উদাহরণ। একজন ধার্মিক মানুষ হিসেবে তিনি সকলের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ রাখতেন।

একজন আদর্শ মা ও স্ত্রীর প্রতিচ্ছবি

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একজন আদর্শ মা এবং স্ত্রীর মূর্ত প্রতীক ছিলেন। তিনি একদিকে যেমন সন্তানদের পরম মমতায় মানুষ করেছেন, তাদের সুশিক্ষিত করেছেন, তেমনি স্বামীর প্রতিটি পদক্ষেপে সমর্থন জুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনে তাঁর প্রভাব ছিল অপরিসীম। বঙ্গবন্ধু নিজেই বিভিন্ন সময়ে তাঁর প্রিয় 'রেনু'র অবদানের কথা স্বীকার করেছেন। বেগম মুজিব দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে একজন নারী সংসার সামলানোর পাশাপাশি দেশের জন্যও নীরবে কাজ করে যেতে পারেন। তাঁর জীবন সংগ্রাম, ধৈর্য আর ভালোবাসার এক অনন্য গল্প।

১৫ই আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনা

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। এই দিনে একদল বিপথগামী সেনাসদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই রাতে ঘাতকদের হাত থেকে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও রক্ষা পাননি। তাঁকেও বঙ্গবন্ধুর সাথেই হত্যা করা হয়। সেদিন তাঁদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল। শুধুমাত্র তাঁদের দুই কন্যা, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যান। এই ঘটনাটি শুধু একটি পরিবারকে ধ্বংস করেনি, এটি ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার উপর এক চরম আঘাত।

কেন "শেখ হাসিনার মা কোন ধর্মের" এই প্রশ্নটি আসে?

এই প্রশ্নটি আসার কারণ হতে পারে মানুষের জানার আগ্রহ। শেখ হাসিনা যেহেতু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নেত্রী, তাই তাঁর পারিবারিক পটভূমি, বিশেষ করে তাঁর মায়ের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে মানুষের মনে কৌতূহল জাগা স্বাভাবিক। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি শ্রদ্ধার আসন অধিকার করে আছেন। তাঁর ধর্মবিশ্বাস তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। তিনি যে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন, এটি জানার মাধ্যমে তাঁর চরিত্র এবং জীবনকে আরও ভালোভাবে বোঝা যায়।

উপসংহার

অতএব, আমরা স্পষ্টভাবে জানতে পারলাম যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন খাঁটি মুসলমান এবং তাঁর জীবন ইসলামিক আদর্শ ও মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হতো। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বা শেখ হাসিনার মা-ই নন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন নীরব সাক্ষী ও সহযোদ্ধা, একজন মহীয়সী নারী যাঁর ত্যাগ, ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও ভালোবাসা এদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর ধর্মবিশ্বাস তাঁকে জীবনের কঠিন পথগুলোতে শক্তি জুগিয়েছে এবং একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQs)

১. শেখ হাসিনার মায়ের নাম কি?

উত্তর: শেখ হাসিনার মায়ের নাম বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তাঁকে ভালোবেসে 'রেনু' বলেও ডাকা হতো এবং তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে 'বঙ্গমাতা' হিসেবে পরিচিত।

২. বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কোন ধর্মের ছিলেন?

উত্তর: বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন। তিনি একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং সারাজীবন ইসলামিক রীতিনীতি ও অনুশাসন মেনে চলতেন।

৩. বেগম মুজিব কে ছিলেন?

উত্তর: বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী একজন মহীয়সী নারী এবং তাঁকে 'বঙ্গমাতা' উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে।

৪. বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কখন এবং কিভাবে মারা যান?

উত্তর: বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তারিখে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সাথে নির্মমভাবে নিহত হন।

৫. বেগম মুজিবকে কেন বঙ্গমাতা বলা হয়?

উত্তর: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অসামান্য ধৈর্য, ত্যাগ, বিচক্ষণতা, পরামর্শ এবং সহযোগিতার জন্য তাঁকে 'বঙ্গমাতা' বা 'জাতির মা' হিসেবে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন তাঁর রাজনীতির একজন বিশ্বস্ত সহচর ও অনুপ্রেরণা।

আপনার আসলেই দৈনিক শিক্ষা ব্লগর একজন মূল্যবান পাঠক। শেখ হাসিনার মা কোন ধর্মের ছিলেন? এর আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
🟢 কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url